ফাহাদ মোল্লা (নিজস্ব প্রতিবেদক)
মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায় অবস্থিত মুন্সিগঞ্জ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে ছাত্রদল-ছাত্রলীগ কর্মীদের মাঝে মুখোমুখি সংঘর্ষে সাধারণ শিক্ষার্থীসহ ১০ জন আহত হয়েছে। রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ কর্মীদের পরীক্ষা দেওয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় এক ছাত্রদল কর্মীসহ দু’জনকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। বাকিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এদিকে, ঘটনার পর বিশৃঙ্খলায় জড়িত সন্দেহে ৯ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় ও শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের মাহমুদুল হাসান তারিফ ও শাহবাজ আশিকের কর্মীরা পূর্বে ত্রাস কায়েম করেছিল। রবিবার দুপরে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন বিভাগের ভাইভা পরীক্ষা চলছিল। এসময় তারিফ ও আশিকের পক্ষের কিছু ছাত্রলীগকর্মী ক্যাম্পাসে উপস্থিত হলে শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল কর্মীরা প্রতিবাদ জানালে উত্তেজনা তৈরি হয়।
এর মধ্যে ছাত্রলীগের কর্মীদের সমর্থন জানিয়ে কিছু বহিরাগত লোকজন ক্যাম্পাসে উপস্থিত হলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় ছাত্রদলের ৪ কর্মী, ছাত্রলীগের দু’জনসহ শিক্ষার্থীরা আহত হয়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘঠনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে আহতরা।
আহত ছাত্রদল কর্মী আল আমিন জানান, ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ কর্মীরা আজ প্রবেশ করলে সবাই তার বিরোধিতা করে। এসময় ছাত্রলীগ কর্মীরা ফোন দিয়ে বহিরাগতদের আনলে আমাদের উপর ব্যাপক মারধর করা হয়।
আহত ছাত্রলীগ কর্মী দুর্জয় জানান, আমি আগে ছাত্রলীগ করতাম। আজ ক্যাম্পাসে পরীক্ষার জন্য উপস্থিত হলে আমাদের আটকে রেখে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আমার উপর হামলা চালিয়েছে।
এ বিষয় সদর থানার ওসি (তদন্ত) সজিব দে জানান, দুপুরে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কিছু কর্মী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে উপস্থিত হলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ও স্থানীয়রা তাদের প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে। উত্তেজনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। পরে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।